জাতীয় পরিচয়পত্রে যেগুলো পরিবর্তন করা যায়

জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন অনুযায়ী, ‘ক’ শ্রেণির সংশোধন উপজেলা নির্বাচন অফিসে করা যাবে। তবে ‘খ’ শ্রেণির সংশোধন করার ক্ষমতা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার৷ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সংশোধন করবেন ‘গ’ শ্রেণির। আর ‘ঘ’ শ্রেণির সংশোধন করার এখতিয়ার শুধুমাত্র এনআইডি ডিজির।

‘ক’ শ্রেণিতে ২২ ধরনের তথ্য পরিবর্তন করতে আবেদন করা যাবে।

এগুলো হলো: নিজ নামের বানান সংশোধন, নামের আংশিক পরিবর্তন, বাংলা নাম অনুসারে ইংরেজি নাম কিংবা ইংরেজি নাম অনুসারে বাংলা নাম, বাবা মায়ের নাম আংশিক পরিবর্তন, বাবা মায়ের নামের বানান সংশোধন, স্বামী বা স্ত্রীর নামের আংশিক পরিবর্তন, স্বামী বা স্ত্রীর নামের বানান সংশোধন, বাবা, মা, স্ত্রী বা স্বামীর মৃত্যু সাল পরিবর্তন, জন্ম নিবন্ধন নম্বর পরিবর্তন বা সংশোধন, জন্ম তারিখ সংশোধন, লিঙ্গ পরিবর্তন, বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন, জন্মস্থান পরিবর্তন, পেশা পরিবর্তন, দৃশ্যমান শনাক্তকরণ চিহ্ন পরিবর্তন, রক্তের গ্রুপ সংযোজন/পরিবর্তন, ঠিকানা সংশোধন, আরএমও, টিআইএন নম্বর পরিবর্তন বা সংশোধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর পরিবর্তন বা সংশোধন এবং মোবাইল বা ফোন নম্বর পরিবর্তন।

‘খ’ শ্রেণির সংশোধনে স্বামী বা স্ত্রীর নাম সংযোজন/বিয়োজন/পরিবর্তন, পাবলিক পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর্যন্ত সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন, অসমর্থতা, ধর্ম পরিবর্তন এবং বায়োমেট্রিক হালনাগাদ।

‘গ’ শ্রেণির সংশোধনে পাবলিক পরীক্ষার সনদ বা যথাযথ সনদের ভিত্তিতে নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন এবং বাবা বা মায়ের নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন, পাবলিক পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী জন্মতারিখ পরিবর্তন করা যায়।

‘ঘ’ শ্রেণির সংশোধনে তিন ধরনের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ থাকছে। সেগুলো হলো—নিজ নাম সম্পূর্ণ পরিবর্তন, বাবা বা মায়ের নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন এবং চাকরির বয়সসীমা, মুক্তিযোদ্ধা, ভোটার যোগ্যতা, প্রার্থীর বয়সসীমা, বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির বয়সসীমাসহ সব ক্ষেত্রে জন্মতারিখ সংশোধন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *